বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) তেলবাহী দুইটি জাহাজে পর পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে পরিকল্পিত নাশকতা বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতেই এই নাশকতা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বিএসসি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
পড়ুন: চট্টগ্রামে তেলবাহী জাহাজে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু
সংবাদ সম্মেলনে কমোডর মাহমুদুল মালেক বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বহির্নোঙরের বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসের কাজে ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’-কে ব্যবহার করে বিএসসি। গত ৫ দিন আগে বাংলার জ্যোতিতে আগুন লাগে। ৫ দিন পর আগুন লাগে বাংলার সৌরভ জাহাজে।
গতকাল রাত ১টা ৫০ মিনিটে বাংলার সৌরভ জাহাজে কিভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়- তার বর্ণনা দিয়ে মাহমুদুল মালেক বলেন, বাংলার সৌরভ জাহাজটি আজ (শনিবার) সকালে তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহাজের সামনের দিকে একই সাথে ৪টি স্থানে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পায় জাহাজে থাকা ক্রুরা। কিন্তু এই সময় জাহাজে কোনো মেরামত কাজও করা হচ্ছিল না। আগুন লাগার পরপরই জাহাজের পাশ থেকে একটি স্পিড বোটকে দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। ফলে জাহাজে পরিকল্পিত নাশকতা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলার সৌরভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জাহাজ থেকে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়া একজন মারা গেছেন। এর বাইরে ৪৭ ক্রু ও কর্মীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
পড়ুন: ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ জাহাজে ভয়াবহ আগুন
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতে এই নাশকতা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ৫দিন আগে বাংলার জ্যোতিতে আগুন লাগার পর নাশকতার কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা অগ্রসর হচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাংলার সৌরভ জাহাজে ফায়ার ড্রিল করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলার সৌরভেও আগুন লাগে।
এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিশ্চিত করেন।
পড়ুন: জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ