গত বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার দেবীর বোধন। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত হন।
মানিকগঞ্জে এ বছর ৫১৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শপিং সেন্টারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। বাড়ে বেচাবিক্রি। তবে চলতি বছরের চিত্র পুরোই উল্টো। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা না আসায় দোকানগুলোতে নেই বিক্রি, হতাশ ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা জানান, পণ্যের দাম ঠিক থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের পৌর সুপার মার্কেট, তৃপ্তি প্লাজা, জেপি প্লাজাসহ শপিং সেন্টারগুলোতো পূজার জমজমাট বেচাকেনা শুরু হয়নি। বিগত বছরগুলোতে পূজার এ সময়ে বেচাকেনা বেড়ে গেলেও এ বছর এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা এ পরিস্থিতিতে হতাশ হলেও আশাবাদী।
জুতা ব্যবসায়ী ইউসুফ মাহমুদ বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে কয়েক লাখ টাকার মালামাল দোকানে এনেছি। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি থাকায় মার্কেটে ক্রেতা নেই। বেচাবিক্রিও নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে লোকসান হবে।’
তৃপ্তি প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী শংকর পাল বলেন, ‘শাখারি, চুরি, মালাসহ পূজার নানা উপকরণ নিয়ে দোকান খুলে বসে আছি। মার্কেটে লোকজনের আনাগোনা নেই। বৃষ্টি কমে আবহাওয়া ভালো হলে বেচাবিক্রি বাড়তে পারে।’
কসমেটিকস ব্যবসায়ী তুহিন মিয়া বলেন, ‘পূজার আমেজ থাকলেও বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা হয়তো তেমন ভালো নেই। বেচাকেনা কম হওয়া আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বিক্রি কমেছে।’
কাপড় ব্যবসায়ী আশফাক তুহিন বলেন, ‘লোন করে বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য এনেছি। ভেবেছিলাম, পূজার বেচাকেনা ভালো হবে। দেশের এ পরিস্থিতিতে বিক্রি এমনিতেই কম। তার ওপর আবহাওয়া অনুকূলে নেই। মরারা উপর খাড়ার ঘা।’
পরিবার নিয়ে পূজার কেনাকাটা করতে এসেছেন উত্তম সরকার। তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস পণ্য, জুতা, কসমেটিকসের দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে, ক্রেতাদের পকেটের অবস্থাও তেমন ভালো না। যার ফলে পছন্দসই শপিং করা যাচ্ছে না।’
মানিকগঞ্জ তৈরি পোষাক দোকানদার সমিতির উপদেষ্টা রফিকুল আলম বিশ্বাস বলেন, ‘আবহাওয়া পরিস্থিতিতে ভালো হলে বেচাকেনা বাড়তে পারে। বেচাকেনা বাড়লেও বিগত বছরের তুলনায় বিক্রি কম হবে।’