সারা বাংলা

গ্রাফটিং টমেটো চাষে মানিক মিয়া লাভবান

গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তিনি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ির পাশে প্রায় ১০ শতক জমিতে সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার) ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় তিনি টমেটো চাষ করেন। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই গ্রাফটিং টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

টমেটো চাষে কৃষক মানিক মিয়া মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। ক্ষেতে জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হয়। ক্ষেত থেকে এ সব টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে শুরু করে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। এখানে পাইকাররা এ টমেটো কিনে নিয়ে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করছেন।

কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি প্রায় ১০ শতক জমিতে গ্রাফটিং টমেটো বারি-৮ জাত চাষে সফলতা পান। চাষে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচে ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। বাকি সময়ে আরও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার) ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মোটিভেশনের মাধ্যমে মালচিং পেপার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষ করেন রুহুল আমিন মানিক মিয়া। এ জাতের টমেটো চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন।

তিনি বলেন, কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে এর শিকড় অনেক শক্ত হয়। ফলে পানি শিকড় নষ্ট করতে পারে না। বাহুবলে এ জাতের টমেটোর চাষ তেমন ছিল না। বর্তমানে কৃষকরা টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছে।