নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে আবারও তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে নোয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত পাড়া, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, সড়ক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের বাস ভবনের নিচ তলা, জেলা রেকর্ড রুমসহ বিভিন্ন স্থাপনা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
জেলার আটটি উপজেলায় সড়ক ও বাসাবাড়ি জলাবদ্ধতায় কবলিত হয়েছে। এতে ২ লাখ ৬ হাজার ৮১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) জেলার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিন্মাঞ্চলীয় এলাকায় নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের আবদুর রহিম জানান, গত কয়েক দিন যাবত নোয়াখালীতে রোদ্রৌজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় আগের জলাবদ্ধতা অনেকটা কমে আসে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আবারও বেড়েছে। মূলত গত দেড় মাস ধরে নোয়াখালীতে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রোদ হলে জলাবদ্ধতা কমে, বৃষ্টি হলে বাড়ে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার মিজানুর রহমান বলেন, বেগমগঞ্জ শহরে খাল-বিল-জলাশয়-পুকুর-নালা সব ভরাট থাকায় পানি নিষ্কাশন দ্রুত হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপরিকল্পিত হওয়ায় পানি নামছে না। ফলে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, সদর উপজেলায় এখনও ২ লাখ ৬ হাজার ৮১৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি পানিবন্দি রয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৩১৫ পরিবার পানিবন্দি। সর্বনিন্ম পানিবন্দি রয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলায়। এখানে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যক্ষেক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও কয়েক দিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নোয়খালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসন কাজ করছে। এর মধ্যে পানি নিষ্কাশনে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।