নোয়াখালী জেলাশহরে ছুরিকাঘাত হওয়ার চার দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল হোসেন (৩২) মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হৃদয়কে (২২) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
নিহত জামাল হোসেন নোয়াখালীর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদনপুর গ্রামের ফরিদ হাজী বাড়ির রফিক উল্যার ছেলে। অভিযুক্ত হৃদয় একই এলাকার মো. রায়হানের ছেলে। নিহত ও অভিযুক্ত দুজনই পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় জামালের। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের সামনে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। অভিযুক্ত মোহাম্মদ হৃদয় পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কিছু দিন আগে হৃদয় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিকাশ অ্যাপ থেকে কৌশলে টাকা চুরি করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। ওই সময় জামালের সঙ্গে হৃদয়ের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জামাল হৃদয়কে থাপ্পড় দেয়। এ বিরোধের জের ধরে জামালকে হৃদয় গত ১ অক্টোবর রাতে ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের সামনে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন জামালকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে তার মৃত্যু হয়।
জামালের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হৃদয়কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ হৃদয়কে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
সুধারম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ভিকটিম ও অভিযুক্তের বাড়ি পাশাপাশি। পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সোহেলী আক্তার বাদী হয়ে থানায় হৃদয়কে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে হৃদয়কে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করেছে।