সারা বাংলা

রাজশাহীর রিকশাচালক সাজামুল হত্যার রহস্য উদঘাটন

রাজশাহীর ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক সাজামুল ইসলাম (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। মাসুম আলী (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর এই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। মাসুম আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, সাজামুলের রিকশাটির জন্যই তিনি তাকে খুন করেন।

গ্রেপ্তার মাসুম আলী দামকুড়া থানার কাদিপুর ল’পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ল’পাড়া গ্রামে রিকশাচালক সাজামুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাথানবাড়ি গ্রামে। তাকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছিল।

মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার (আরএমপি) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, সাজামুল ও আসামি মাসুম আলী পাশাপাশি গ্রামের পূর্বপরিচিত। অটোরিকশার লোভে মাসুম সাজামুলকে হত্যা করেন। 

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে সাজামুলের রিকশা ভাড়া করেন। রাত আনুমানিক ১০টায় ল’পাড়া এলাকার একটি আমবাগানে পৌঁছালে মাসুম তার কাছে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে সাজামুলের পিঠে ও মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর তার রিকশাটি নিয়ে চলে যান।

মাসুম পাবনার সদর থানার মালঞ্চি এলাকায় গিয়ে রিকশাটি তার পূর্ব পরিচিত আবদুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আবদুর রশিদ তাকে ৩০ হাজার টাকা দেন এবং বাকি টাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে দেওয়া হবে বলে জানান। এই কাগজপত্র নেওয়ার জন্য মাসুম বাড়িতে এলে দামকুড়া থানা পুলিশ শনিবার দুপুরে র‌্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেখানো মতে পাবনা সদরের স্টেশন রোডের লস্করপুরে একটি অটোরিকশা মেরামত গ্যারাজ থেকে সাজামুলের রিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কমিশনার জানান, রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার মাসুমকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে নিজের দোষ স্বীকার করে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।