বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ী বরখাস্ত করতে আল্টিমেটাম দেন। বরখাস্ত করা না হলে ‘উত্তরবঙ্গ ব্লকেড’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ আবু সাঈদ ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহিদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলীও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুমকে ওএসডি
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচারীর দোসররা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে পারেনি। তারা এ দেশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। গণঅভ্যুত্থান ও শহিদদের নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি শহিদ আবু সাঈদ ও গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে প্রমাণ করেছেন, তিনি স্বৈরাচারের দোসর। তাকে শুধু বদলি করলেই হবে না, স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে।
তাপসী তাবাসসুম উর্মি
তারা আরও বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে (তাপসী তাবাসসুম উর্মি) স্থায়ী বরখাস্ত না করা হলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘অনলাইনে জানতে পারি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যে আওয়ামী লীগের দোসর, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলেছেন। সুশীল সমাজকে মায়া কান্না করতে বলেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে এতো সাহস পান? অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি, এই কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হোক। তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হোক।’
বেরোবির শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান সুমন বলেন, ‘আবু সাঈদের শহর রংপুর, বিপ্লবীদের শহর রংপুর। আমরা জেনেছি, আবু সাঈদকে কটূক্তিকারী উর্মীকে ওএসডি করে রংপুরে পাঠানো হচ্ছে। রংপুরে আবু সাঈদের অপমানকারী কোনো স্বৈরাচারারের দোসরকে মেনে নেওয়া হবে না। অনতিবিলম্বে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে।’