সারা বাংলা

চট্টগ্রাম বন্দরে লোড আনলোডে অটোমেশনের উদ্যোগ

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের লোড আনলোডে অটোমেশন ও সময় কমানোর লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘অভিযোগ ছিলো জাহাজ আনলোড করে বন্দর ছেড়ে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগে। সেজন্য আজ আমি একটা জাহাজ পরিদর্শন করেছি এবং ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতে ম্যানুয়ালি আনলোড করতে ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগে। যদিও এখন আগের তুলনায় লোড আনলোডের সময় অনেক কমে এসেছে। লোড আনলোডে যদি অটোমেশন আনতে পারি তবে এ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল এবং লালদিয়ার চর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। এখানে যে ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল তা দূর করা না গেলে আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে। এ জন্যই আমি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসেছি। পোর্টের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পোর্টের অব্যবস্থাপনার জন্য পোর্ট একা দায়ী নয়। এখানে এখনো ২০ বছরের পুরাতন কন্টেইনার ও ১২ থেকে ১৪ বছরের গাড়ি পড়ে আছে। এভাবে চলতে থাকলে পোর্টের কার্যকারিতা বাড়ানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। পড়ে থাকা কন্টেইনার বা গাড়ি নিলাম করার কাজ এনবিআরের। আমি নোট নিয়েছি, কিভাবে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায় এ নিয়ে এনবিআরের চেয়াম্যানের সঙ্গে কথা বলবো।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমাদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বেড়ে চলেছে। বহু বছর পরে এ কার্যক্রম বহুগুণে বেড়ে যাবে। বর্তমানে প্রতি কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য আমরা প্রায় ১৮ ডলার পাচ্ছি। হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাড়লে আয়ও বহুগুণ বেড়ে যাবে। বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অপেক্ষা করছে। বে-টার্মিনাল চালু হলে আমাদের আয় আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে। তাই কোনভাবেই বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না।’

এসময় এম সাখাওয়াত হোসেন যে কোনো সেক্টরের অনিয়ম, দুর্নীতিসহ সব অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।