সারা বাংলা

খুলনায় দুর্গোৎসবে থাকবে ৩ স্তরের নিরাপত্তা: পুলিশ সুপার

‘এবারের দুর্গোৎসবে খুলনা জেলা পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। ৯৬৫ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। সংখ্যা আরও বাড়বে। নিরাপত্তায় ডিবির টিম, থানা পুলিশ, সাইবার মনিটরিং টিমও আছে। এছাড়া, সাদা পোশাকে এবং যৌথবাহিনী সঙ্গেও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেখানেই নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) টিএম মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।

এসপি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিক এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের কাজের ধরণ ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু এক। পুলিশিং সেবা জনগণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রস্তুত আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুলনার ৯ উপজেলায় এবার ৭৪০টি মণ্ডপে দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এসব মণ্ডপকে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপ রয়েছে ১৫৭টি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ২৪৬টি এবং সাধারণ পূজা মণ্ডপ ৩৩৭টি।’

সম্প্রতি দাকোপে মণ্ডপে চাঁদা চেয়ে উড়োচিঠি দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আমাদের ফোকালপয়েন্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুশান্ত সরকার সেখানে গিয়ে কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। পূজা মণ্ডপগুলোকে আমরা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়ে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি।’

এসপি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোনো বিষয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। আশঙ্কা থাকুক আর নাই থাকুক আমরা সব বিষয়ে সতর্ক আছি। আসন্ন সারদীয় দূর্গা উৎসব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষ অনেক যাচাই-বাছাই করেই আমাদের পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য একটি গুরু দায়িত্ব। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করব। এখানে কোনো রকম উৎকোচগ্রহণ, দালাল, কারও মাধ্যমে আসা না লাগে সেটি আমি বলে দিয়েছি। ৫ আগস্ট একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পুলিশ একটা সময়ে ইনএকটিভ ছিল, এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।’

এসময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস্ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সুশান্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।