সারা বাংলা

খাগড়াছড়িতে ৬১টি মণ্ডপে হবে দেবী দুর্গার আরাধনা

চেঙ্গী নদীর অববাহিকার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার জেলার ৬১টি মণ্ডপে হবে দেবী দুর্গার আরাধনা। পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন আয়োজকরা। মৃৎশিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলেছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, ও স্বরস্বতীর প্রতিমা।

খাগড়াছড়ি শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির, আনন্দনগর ভূবনেশ্বরী কালী মন্দির, গীতা আশ্রম, জগন্নাথ মন্দির, খাগড়াপুর সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, ৫ মাইল ত্রিপুরা পাড়া লক্ষ্মী নারায়ন মন্দিরসহ জেলার সবকটি উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে শেষ হয়েছে প্যান্ডেল, প্রতিমা সাজানো, মঞ্চ ও আলোক সজ্জার কাজ। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজনও তাদের পূজা মণ্ডপের কাজ শেষ করেছেন।

খাগড়াপুর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চামেলি ত্রিপুরা জানান, তাদের পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ। বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে তারাও দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করবেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তারা দেবী দুর্গাকে ত্রিপুরা নারীদের পরিধেয় বস্ত্র রিনারিসাই দিয়ে সাজিয়েছেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তমাল দাশ লিটন জানান, ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করেছে প্রশাসন। আশা করছি, প্রশাসন তথা সবার সহযোগিতায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পূজা শেষ করতে পারবো।

খাগড়াছড়ি পুালশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার, বিজিবি, সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। মণ্ডপ গুলোতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।