সারা বাংলা

খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রে সুনসান নীরবতা

সম্প্রতি পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা (খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান) ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। এতে পর্যটকশুন্য হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলো। ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, পাহাড়ে সহিংসতা, রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও বন্যার কারণে খাগড়াছড়িতে এমনিতেই পর্যটকের সংখ্যা কম। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার কারণে পুরো পর্যটন খাতে ধ্বস নেমেছে। খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিনে আলুটিলা গুহা, হর্টিকালচার পার্ক, রিছাং ঝর্ণা, মায়াবিনী লেকসহ খাগড়াছড়ি প্রায় সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে কোথাও কোনো পর্যটকের দেখা মিলেনি।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিশলয় তালুকদার বলেন, প্রশাসন নিরুৎসাহিত করার কারণে পর্যটকশুন্য হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি। এতে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় দুই হাজার লোক বেকার হয়ে পড়েছেন।

খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি এস অন্তত ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়িতে কোনো কলকারখানা নেই। এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। জীবন-জীবিকার স্বার্থে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা (নিরুৎসাহিত) তুলে নেওয়া উচিত।

এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ঢাকায় গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য।