সারা বাংলা

শিবচরে মা ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্সের সভা 

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্সের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সভা হয়।

ইলিশ মাছের প্রজনন রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে।

সভায় মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক নানা বিষয় উল্লেখ করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, শিবচরের পদ্মানদীর যেসকল স্থানে নিষিদ্ধ মৌসুমে ধরা, ইলিশ বিক্রি করা হয়, সেখানে যাতে অস্থায়ী কোনো হাট-বাজার বসতে না পারে; সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলেরা যাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ ধরতে যেতে না পারে, সেজন্য নদীতে একাধিক টিমের অভিযান থাকবে। একই সঙ্গে শিবচর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, সদরপুরে সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।

এ দিকে ইলিশ যাতে সংরক্ষণ করতে না পারে, সেজন্য শিবচরের সকল বরফকল ২২ দিন বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পথে। আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিবচরের পদ্মানদীর যে সকল পয়েন্টে ইলিশ ধরা হয়, ওই সকল স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখা, একাধিক টিম গঠন করে পদ্মার তীরে যাওয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। নদীতে ২ শিফটে ৮ ঘণ্টা করে টহল, সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করাসহ মা ইলিশ সংরক্ষণে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ 

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর কঠোর অভিযান পরিচালনা করব। পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাবের পাশাপাশি এবার সেনা সদস্যদের টিমও ইলিশ রক্ষায় আমাদের সঙ্গে থাকছে। সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে জেলে, সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রসমাজও এবার সঙ্গে থাকছে। সর্বোপরি, মা ইলিশ রক্ষায় আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাব।’

শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিমের সঞ্চালনায় প্রস্তুতিমূলক সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মালেক, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন, চরজানাজাত নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) হাবিবুল্লাহসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।