শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে সমুদ্রশহর কক্সবাজারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে শনিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত চার লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিন দিনে দৈনিক গড়ে এক লাখের বেশি পর্যটক আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এই শহরটির ৩ ও ৫ তারকা মানের হোটেলগুলোর সব রুম বুক হয়ে গেছে।
আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের মধ্যে ৩ তারকা এবং ৫ তারকা মানের হোটেলগুলোর সব কক্ষ ভাড়া ও বুকিং হয়ে গেছে। মধ্য মানের যে হোটেলগুলো রয়েছে সেগুলোতে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। অগ্রিম বুকিংয়ের জন্যেও অনেকে যোগাযোগ করছেন। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজগুলোতে দৈনিক মানুষের ধারণক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূজার ছুটিতে বিশেষ কোনো ছাড় না থাকলেও আবাসিক হোটেলগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া না রাখার জন্য বলা হয়েছে। যদি পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া যায় তবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, সমুদ্রের শহর কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্রসৈকতসহ জেলার প্রতিটি স্পটে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি রেখেছে প্রশাসন।
পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে সমুদ্রসৈকত ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি পাহাড়-ঝরনা, প্রাকৃতিক গুহার দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি, ইনানী ও পাটোয়ারটেক পাথুরে সৈকত, শামলাপুর সৈকত, টেকনাফ সৈকত, জাহাজপুরা গর্জন বাগান, মাথিন কূপ, কুদুমগুহা, রামুর বৌদ্ধপল্লি, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির ও চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ভ্রমণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থাকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করবো। এবারের ছুটিতে আমাদের অতিরিক্ত পেট্রোলিং থাকবে। বিশেষ করে টেকনিক্যাল বিষয় যেমন ড্রোন, সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। প্রতিটি স্পটে আমাদের সাদা পোশাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের লোকজন থাকবে।’