সারা বাংলা

পর্যটকের পদভারে মুখরিত কুয়াকাটা

দুর্গাপূজার ৪ দিনের ছুটি উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সৈকতে এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটে। 

আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়া, মোটরসাইকেল কিংবা ওয়াটার বাইকে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। 

দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পর পর্যটকের এমন বাড়তি উপস্থিতিতে অনেকটা উচ্ছসিত ব্যবসায়ীরা। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল-মোটেল। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। তবে মোটরসাইকেল চালক ও ক্যামেরাম্যানদের উৎপাতসহ লকার সংকটের কথা জানিয়েছেন পর্যটকরা।

ঢাকার ধামরাই থেকে আসা পর্যটক ফরিদ হোসেন বলেন, পূজোর ছুটি পেয়েছি, তাই কুয়াকাটা বেড়াতে এসেছি। এখানের পরিবেশ সবকিছুই ভালো লেগেছে। তবে বিচে নামার আগে বেশ কয়েকজন ক্যামেরাম্যান বারবার ছবি তোলার কথা বলেছে। বিচে বসেও অনেকে ছবি তুলতে চেয়েছে। যেটা আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনি। 

খুলনা থেকে আসা পর্যটক সোহেল-রুমানা দম্পতি বলেন, সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন দারুণ লেগেছে। তবে এখানে সকালে এসে লকার খুঁজেছি। হাতে গোনা কিছু থাকলেও তা খালি পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে হোটেলের কক্ষ ভাড়া নিয়েছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বিচে অবাধে মোটরসাইকেল চলাচল করছে এবং চালকরা বারবার তাদের মোটরসাইকেলে ঘোরার জন্য বলছে। বেশ কয়েকজনকে ঘুরবো না বলে জানানোর পরও আবারও কয়েকজন এসে বিরক্তি করেছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।