পিরোজপুর সদরের কদমতলা এলাকায় প্রাইভেটকার খালে পড়ে নিহত নাজিরপুরে শাওনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নিহত শাওনের মা কহিনুর বেগমের হাতে এ অর্থ তুলে দেন। এ সময় শাওনের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামসহ তার বড় মামা, খালাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, প্রাথমিক ভাবে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ তুলে দিলাম। এছাড়াও এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চাল প্রদান করা হবে। এছাড়া বিআরটি এর মাধ্যমে আরও একটি অর্থ সহায়তা পাবেন এই পরিবার।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাওনসহ তার পরিবারের চার সদস্যর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের পাশাপাশি চারটি কবরে শায়িত হয়।
নিহত শাওনের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, আমার ভাই শাওন দুই সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে ছিলেন। এই দুর্ঘটনা আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শাওন পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় বসবাস করতেন। নাজিরপুর স্থানীয় কলেজ থেকে বিএ পাশ করে নিজের গাড়ি ভাড়া চালিয়ে সংসার নির্বাহ করতেন। পরে আর্মিদের সিভিল বিভাগের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে (সিএইচডি) কাজ করতেন।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. মুকিত হাসান খাঁন বলেন, পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পরিবারের ৮ জনের মারা যাবার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে কি কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালকের অসতর্কতার বা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার নাজিরপুর সড়কের নূরানি গেট এলাকায় কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে একটি প্রাইভেটকার খালে পড়ে যায়। এতে দুই পরিবারের আটজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- জেলার নাজিরপুরের হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শাওন (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), শাওনের দুই ছেলে শাহাদাত (৭) ও আব্দুল্লাহ (৩)। এছাড়া অপর পরিবারের নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা (৩৬), তাদের কন্যা সন্তান মুক্তা (১০) ও ছেলে শোয়াইব (২)।