টানা বৃষ্টিতে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়নের তালেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। এলাকাবাসী জানান, সরকারের সুদৃষ্টির অভাবেই হাসপাতালটির বেহাল দশা। নিচু জায়গায় হওয়ায় বাড়ি, রাস্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পানি এখানে জমা হয়। হাসপাতালের মাঠ এখন মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে।
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেবেন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক থেকে হাসপাতালের ভেতর পর্যন্ত পানি পেরিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে দেড় হাত পর পর বালুর বস্তার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, পানি জমে রয়েছে হাসপাতালের চারপাশে। চলাচলের জন্য বালুর যে বস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই হচ্ছে বেশি। বস্তার ওপর দিয়ে চলাচলের সময় অনেকেই পা পিছলে পানিতে পড়ে যাচ্ছেন। ফলে নষ্ট হচ্ছে কাপড়। এছাড়া, পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত পানি ডেঙ্গু মশা উৎপাদনের কারখানাতে পরিণত হয়েছে।
তালেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওমর ফারুক বলেন, ‘বেশি বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের সামনের গেটে হাঁটুপানি জমে যায়। কিছুদিন ধরে হওয়া অতি বৃষ্টিতে হাসপালের ভেতরে হাঁটু পানি জমে আছে। সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি দেখতে হয়। আমি বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে তারা মাটি ভরাটের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, ‘তালেপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নিচু জায়গায় হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময়ই পানি জমে থাকে। ফলে স্বাস্থ্য সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছি মাটি ভরাটের জন্য। আশা করছি, অতি দ্রুত মাটি ভরাট করা হবে।’