কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজ হওয়ার ১৪ দিন পর স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের (৫০) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে, শিক্ষক আরিফকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক’ শ মানুষ আজ সন্ধ্যায় পেকুয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে পেকুয়ার চৌমুহনী থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে আরিফকে ৮-৯ জন দুর্বৃত্ত গাড়িতে তুলে অপহরণ করে বলে দাবি করেছিলেন নিহতের স্ত্রী মেহেবুবা আনোয়ার লাইজু।
মারা যাওয়া আরিফ পেকুয়া সদরের মাতাব্বরপাড়ার মৃত বজল আহমদের ছেলে। তিনি পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
আরিফের স্ত্রী মেহেবুবা আনোয়ার লাইজু জানান, জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে কোনঠাসা করতে ও মুক্তিপণ আদায় করতে তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের পর অজানা ব্যক্তিরা তার শাশুড়ির মুঠোফোন কল করে আরিফকে জীবিত ফিরে পেতে হলে প্রথমে ২০-২৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৩৫-৬০ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
তিনি জানান, বেশি টাকা না থাকায় স্বামীকে বাঁচিয়ে রাখতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দেন। এ ব্যাপারে থানাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আজ শুক্রবার নিজ বাড়ির পুকুরে থেকে ভাসমান অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।