সারা বাংলা

কয়েদি পালানোর ঘটনায় বগুড়া কারাগারের জেল সুপারকে বদলি

বগুড়া জেলা কারাগার থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর ঘটনার সাড়ে তিন মাস পর জেল সুপার আনোয়ার হোসেনকে বদলী করা হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশ জারি করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেনকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বদলী করা হয়। এছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহমেদকে বগুড়া জেলা কারাগারে বদলী করা হয়েছে।

বদলীর বিষয়টি বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরিফ নিশ্চিত করে জানান, জেল সুপারের বদলীর আদেশ হয়েছে। তবে নবাগত জেল সুপার এখনও যোগদান করেননি।

এর আগে ১ অক্টোবর বগুড়া জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামানকে নিজ কর্মস্থলে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়। চার কয়েদি পালানোর ঘটনায় ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামানকে চলতি বছরের ২৭ জুন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ওই আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি। ভোররাতে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া চার কয়েদিকে আটক করে পুলিশ।

ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই কনডেম সেল ফুটো করে কয়েদি পালানোর ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পরপর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একজন ডেপুটি জেলারসহ সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সাতজন কারা রক্ষীকে। বদলী করা হয় জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে। কিন্তু বহাল তবিয়তে থাকেন জেল সুপার আনোয়ার হোসেন। 

এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার নবাগত জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে কারাগারের জেল সুপারের অনিয়ম অব্যবস্থাপনা এবং বন্দী পালানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।