সারা বাংলা

মাছের সঙ্গে শত্রুতা, ক্ষতি ১০ লাখ টাকা

পটুয়াখালীর মহিপুরে শানু খান (৪৫) নামে এক মৎস্যচাষির মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই মৎস্যচাষির প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

তবে শানু খান বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেউ শত্রুতা করে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবি তার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পুনামাপাড়া গ্রামের একটি ঘেরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেম শানু খান। শুক্রবার রাতে মাছের খাবার দিয়ে বাড়িতে চলে যান। সকালে এসে দেখেন ঘেরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এছাড়াও ঘেরে আগে থেকে ধরে রাখা গলদা চিংড়ির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

ওই এলাকার বাসিন্দা খলিল সিকদার বলেন, সকালে শুনতে পাই শানু মিয়ার ঘেরে মাছ মরে গেছে। এখানে এসে দেখতে পেলাম মাছ মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে ঘেরের সব মাছ মরে গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। 

স্থানীয় আরও এক বাসিন্দা ইউসুফ জানান, অনেক মাছ মরে ভেসে উঠেছে এবং এই ঘেরে যত গলদা চিংড়ি ছিলো সব নিয়ে গেছে। কে বা কাহারা এত বড় ক্ষতি করলো এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই।

মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত শানু খান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার প্রতিপক্ষ শত্রুরা রাতের আঁধারে এমন ঘৃণিত কাজটি করেছেন। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয় মহিপুর থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।