সারা বাংলা

পর্যটকে মুখরিত ‌লাউয়াছড়া

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে চার দিনের সরকারি ছুটি চলছে। এই ছুটি কাজে লাগাতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে অনেকেই ছুটছেন দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে। পর্যটক আগমনে মুখরিত মৌলভীবাজার। এই জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর লেকে বেড়াতে এসেছেন অগণিত ভ্রমণপিপাসু। চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলেও রয়েছে পর্যটকদের উপস্থিতি।

হোটেল ও রিসোর্ট মালিকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন মন্দাভাব থাকলেও গত দুই-তিন দিন প্রচুর পর্যটক আসায় তাদের মধ্যে আশার আলো জেগেছে।

বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গত দুই দিনে লাউয়াছড়ায় ১ হাজার ১০০ পর্যটক এসেছেন। সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৪২ টাকা।’

সিলেট জালাবাদ গ্যাসের ম্যানেজার হামিদ হোসেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকে বেড়াতে এসেছিলেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) কথা হলে তিনি বলেন, ‘চার দিন ছুটি পেয়ে সবুজ প্রকৃতির টানে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছি মাধবপুর লেকে। আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে, এখানকার প্রকৃতি উজারভাবে আমাদের আপ্যায়ন করছে।’

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ বলেন, ‘এখানে আমাদের আসাতে কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা গ্র‍্যান্ড সুলতানে উঠেছি, সেখানের পরিবেশ খুব ভালো। এই স্পটে আসার সময় কিছুটা যানজট ছিলো। তবে কোনো অসুবিধা হয়নি। প্রকৃতির দৃশ্য খুবই সুন্দর। আমরা সৌন্দর্য উপভোগ করছি।’

অপর পর্যটক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা প্রথমে লাউয়াছড়া ঘুরে এখন মাধবপুরে এসেছি। এখানের প্রকৃতি ও লেকের শাপলাগুলো দেখে মন আনন্দে ভরে উঠেছে। যায়গাটা দারুণ উপভোগ্য।’

শ্রীমঙ্গলের গ্র‍্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমদ বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আমাদের রিসোর্টের কোনো সিট খালি নেই। পর্যটক আসায় মাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আশাকরি, আগামী দুই দিনও পর্যটকদের ভিড় থাকবে।’

বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গত দুই দিনে লাউয়াছড়ায় ১১০০ পর্যটক এসেছেন। সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৪২ টাকা।’