সারা বাংলা

বেগুনের কেজি ১৬০

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা কুমারখালীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন ক্রেতা, বিক্রেতা ও প্রশাসন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) কুমারখালী পৌর তহবাজার, স্টেশন বাজার, যদুবয়রা জয়বাংলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তবে অধিকাংশ বিক্রেতার কাছেই ছিল না বেগুন।

সবজি বিক্রেতা মনজু শেখ বলেন, বেগুনের সরবরাহ নেই বললেই চলে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমার ব্যবসায়ী জীবনে এটা বেগুনের সর্বোচ্চ দাম।

রাজীব হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বেগুন পাওয়াই যাচ্ছে না। বেগুনের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। দাম বেশি হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে বেগুন বিক্রি করছি না।

কৃষক বাবু আলী বলেন, চলতি বছর ১২ শতাংশ জমিতে বেগুনের চাষ করেছি। মাস দেড়েক আগে প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ মণ বেগুন তুলতাম। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে ফুল-ফল মরে যাচ্ছে। বেগুন হচ্ছে না। গত সপ্তাহে মাত্র ৩৪ কেজি বেগুন তুলেছি।

শামিম হোসেন নামে আরেক কৃষক বলেন, গত বছর ৮ শতাংশ জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ ৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এ বছর বৃষ্টিতে সব ফুল মরে গেছে। এক কেজি বেগুনও তুলতে পারিনি। এক মাস ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি ও হালকা বাতাস লেগেই আছে। এতে জমিতে পানি জমে মরিচ, বেগুন, উস্তেসহ সব ধরনের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। উৎপাদন না হওয়ায় সরবরাহ কমে দাম বেড়ে গেছে।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে লাগানো সবজির ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে গাছের ফুল-ফল নষ্ট হয়ে গেছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। তবে দামে রেকর্ড করেছে বেগুন।

কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, অতীতে বেগুনের এত দাম কেউ শোনেনি। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হওয়ায় দাম বেড়েছে। বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।