সারা বাংলা

জমির বিরোধে অপহরণের পর হত্যা করা হয় শিক্ষক আরিফকে: র‌্যাব 

কক্সবাজারের পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আরিফে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ গুম করতে বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত পুকুরে ডুবিয়ে রাখা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য বেরিয়ে আসে বলে রোববার (১৩ অক্টোবর) জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে র‍্যাব-১৫ ও র‍্যাব-৭  চট্টগ্রামের সদরঘাট থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকার বন্ধুর বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে।  তিনি পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি।

আরও পড়ুন: পুকুরে মিললো শিক্ষকের মরদেহ, সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন

লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আরিফের সঙ্গে পেকুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে গত ৫ আগস্টের পর আরিফকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেন জাহাঙ্গীর আলম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি এতথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দুই সপ্তাহ ধরে চলমান অভিযানের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে এবং মূলহোতা ও প্রধান পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, তিনি শিক্ষক আরিফকে অপহরণ, ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, হত্যাকাণ্ড এবং বস্তাবন্দি করে পুকুরে লাশ গুম করার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আরো তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক আরিফকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ১৪ দিন পর গত ১১ অক্টোবর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে আরিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।