আজ প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসবের সব আয়োজন। এর আগে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মন্দির-মণ্ডপে শেষ হয়েছে দুর্গাপূজার শাস্ত্রীয় সব পূজা অর্চনা। এবছর নবমী-দশমী তিথি একসঙ্গে হওয়ায় একইদিনে শেষ হয় দুর্গাপূজার মূল আয়োজন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতীমা বিসর্জনের প্রস্তুতি ও আনুষাঙ্গিকতা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে দেবী দুর্গার আরাধনা ও প্রতীমা বিসর্জন দিতে পারেন সে জন্য শরীয়তপুর জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী।
শরীয়তপুর জেলার আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মেজর রিফাত রহমান জানান, দুর্গাপূজার সুষ্ঠু সমাপ্তিকে এই মুহূর্তে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেন নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে পারেন, সেজন্য বিজয়া দশমী উপলক্ষে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও সেনা ক্যাম্পের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের মাধ্যমে সব পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলাতে বিসর্জনের সময় সেনাবাহিনীর টহল দল উপস্থিত থাকছে। প্রতীমা বিসর্জনকে ঘিরে যাতে কোনো নাশকতা না হয় সেদিকটি খেয়াল রাখছেন সেনা সদস্যরা।