কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে এলপিজি লোড করার সময় লাইটার জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ৩১ জন ক্রুকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে। তাদের সবাইকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে রাখা হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) এতথ্য জানিয়েছেন তুফান এক্সপ্রেস টাগবোটের মাস্টার নজরুল ইসলাম।
কোস্টগার্ড জানায়, ১১ ঘণ্টার চেষ্টার পর আজ দুপুর ১২টায় সোফিয়া জাহাজের আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের অভ্যান্তরে তল্লাশি চালানো হয়েছে হতাহতদের সন্ধানে। এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ নেই। আগুনে পুড়ে জাহাজ ও এলপিজি’র কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিরূপন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে রাখা এলপিজি বহনকারী জাহাজে আগুন
জানা গেছে, ক্যাপ্টেন নিকোলাস নামে একটি ট্যাংকারে করে ৪২ হাজার ৯২৫ টন তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানি করে দেশের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এই এলপিজি লাইটার জাহাজের মাধ্যমে খালাসের জন্য নিকোলাস ট্যাংকার জাহাজটি (মাদার ভ্যাসেল) কুতুবদিয়ার কাছে বঙ্গোপসাহরে নোঙর করা ছিল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিকোলাস জাহাজ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ‘সোফিয়া’ নামের লাইটার জাহাজে এলপিজি স্থানান্তর করার সময় অজ্ঞাত উৎস থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রামস্থ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি টাগবোট ও জাহাজ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্রুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। এই সময় জাহাজে থাকা ৩১ জন ক্রুর সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় টাগবোট ‘তুফান এক্সপ্রেস’।
তুফান এক্সপ্রেস টাগবোটের মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, উদ্ধারের পর আজ সকালে ক্রুদের সবাইকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ হোটেলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।