প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবীর প্রতিমা নিয়ে দলে দলে আসছেন ভক্তরা, বিদায় দিচ্ছেন অশ্রুজলে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ ঘাট (৫নং ঘাট), বন্দর ঘাট, ফতুল্লা ঘাটসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। চার দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পঞ্চম দিনে মর্ত্যলোক থেকে বিদায় নিলেন দেবী দুর্গা। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে ৩নং মাছ ঘাটে অস্থায়ী প্রতিমা বিসর্জন মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। নদীতে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিসর্জন উপলক্ষে সমগ্র জেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় থাকতে দিতে দেখা গেছে।
এর আগে তিথির কারণে শনিবার একই দিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে প্রথমে মহানবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা হয়। ওই পূজা শেষেই দশমীর লগ্ন হওয়ায় সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে করা হয় বিজয়া দশমী বিহিত পূজা ও দেবীর দর্পণ বিসর্জন।
সকাল থেকে বিসর্জনের প্রস্তুতির পাশাপাশি সিঁদুর খেলার আয়োজন শুরু হয়ে যায়। বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন মন্দিরে বিবাহিত নারীরা সিঁদুর খেলা ও মিষ্টি দানের আয়োজনে অংশ নেয়। তাঁদের স্বামী-সন্তানরা এবং অনেক ভক্ত শেষবারের মতো দেবীকে প্রণাম জানাতে মন্দিরে সমবেত হন।
শনিবার নবমীর দিন হওয়ায়, রোববার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিষাদ ও আনন্দ এক করে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেন তারা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গতিনাশিনীর বন্দনা।