সারা বাংলা

বামনহাট গ্রামে বাড়ছে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ, মিলছে সফলতা

কৃষি খাতে আধুনিকতার প্রসার ঘটিয়ে বস্তা পদ্ধতিতে নড়াইলের বামনহাট গ্রামে আদা চাষ করছেন অনেকেই। এ পদ্ধতিতে এক দিকে যেমন মাটি বাহিত রোগের আক্রমণ অনেক কম, অন্য দিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে বস্তা অন্য জায়গায় সরিয়েও নেওয়া যায়। বর্তমান সময়ে বাড়ির উঠান কিংবা পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অল্প খরচ আর অধিক লাভ হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে বস্তায় আদা চাষ করছে বামনহাট গ্রামের কৃষাণী মল্লিকা রায়। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৩০ হাজার বস্তায় বারি-২ আদা চাষ হয়েছে। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ জেলায় যেন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বছর মোট আদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫০ মেট্রিক টন। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে প্রথমে মাটির শুকনো ঢেলা ভেঙে ঝুর ঝুরে করে চেলে নিয়ে গোবর সার ও ছাই মেশাতে হবে। পরে মাটি তৈরি করা হয়ে গেলে বস্তায় ভরে চাষের জন্য বসাতে হবে। ওই বস্তার মধ্যে ৫০ গ্রাম একটি করে আদা রোপণ করে সাথে সামান্য পানি দিতে হবে। এরপর বস্তার ওপর ঢেকে দিয়ে রাখতে হবে। এতে মাটিতে যেন আর্দ্রতা বেশি দিন থাকে। অল্প দিনের মধ্যেই চারা গাছ বেরিয়ে আসা শুরু করে। 

কৃষাণী মল্লিকা রায় বলেন, এ বছর আমি ১ হাজার বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আদার ফলন ভালো হয়েছে। 

একই গ্রামের কৃষক মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ বছর ৩ একর জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছি। চাষ করতে আমার ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি এ বছর ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আয় হবে। 

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান বলেন, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার বস্তায় বারি-২ আদা চাষ হয়েছে। তবে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫০ মেট্রিক টন। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেশী। প্রতি গাছে ৮০০ গ্রাম করে আদা হলেও বস্তায় দেড় কেজি পর্যন্ত আদা ফলানো সম্ভব। কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা গেলে আদা চাষে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন।