সারা বাংলা

নিজের পাতা ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

নিজের জমিতে আমন ধানের চাষ করেছিলেন সোহেল রানা মোল্যা (৩২)। ধান খেতে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছিলেন। অসাবধানতাবশত সেই বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা গ্রামের খেত থেকে সোহেল রানার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোহেল রানা উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের আবদুল গফুর মোল্যার ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোহেল রানা বাড়ির অদূরে মাঠের একটি জমিতে আমন ধানের চাষ করেন। ধান খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি তিনি বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের সংযোগ থেকে খেতের আইলে জিআই তার দিয়ে বিদ্যুতের ফাঁদ তৈরি করেন। সোমবার সকালে সোহেল রানা বাড়ি থেকে ধানের জমিতে কীটনাশক দেওয়ার জন্য বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন তাকে ধান খেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

সোহেল রানার বাবা আব্দুল গফুর মোল্যা বলেন, ‘আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হন। আর বাড়ি ফেরেনি। আজ সকালে তাকে খুঁজতে গিয়ে ধান খেতের আইলের মধ্যে ইঁদুরের ফাঁদের তারে জড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সে ধান খেতে যাওয়ার পর অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছেন।’ 

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাহুল দেব ঘোষ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সোহেল রানার মৃত্যু হয়। 

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মুন্সী বলেন, নিজের তৈরি ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন কৃষক সোহেল রানা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।