শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অন্য নেতাদের মত আড়ালে রয়েছেন পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রকাশ্যে না এলেও গত কিছুদিন ধরে অনলাইনে বেশ সরব সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এবার অনলাইনে থেকে অডিও কলের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে ধমকানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলে রাব্বী নামের ওই সমন্বয়ককে ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে ধমকের স্বরে আক্রোশমূলক কথা বলেন। এমন একটি রেকর্ড হাতে এসেছে প্রতিবেদকের।
রেকর্ডটিতে নাঈমুজ্জামানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার ফেসবুকের ওয়ালে এসে তোমার বাহাদুরি কেন করতে হবে? আমি পঞ্চগড়েই আছি বেয়াদবি করবা না। আমার সাধারণ সৌজন্য শিষ্টাচার আছে বলেই মনোনয়ন পাবার পর আমাদের এলাকার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ জমির উদ্দীন সরকারের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক স্পিকার) দোয়া নিতে গিয়েছিলাম। সাধারণ সৌজন্যতা বজায় রাখবা। রাজনীতি করতে চাও, রাজনীতিকে রাজনীতিকভাবে মোকাবেলা করবা, বেয়াদবি করবা না। বেয়াদবি করে কোনদিন রাজনীতিতে বড় হওয়া যায় না।’
ম্যাসেঞ্জার কলে তিনি ফজলে রাব্বীকে আরও বলেন, ‘আমার শিক্ষা, আমার রুচি, আমার ব্যাকগ্রাউন্ড এবং পঞ্চগড় নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা- সেটা অর্জন করতে তোমার বহু বছর লাগবে। আমি যতটুকু করছি জীবনে সেটুকু অর্জন করতে তোমার বহু বছর লাগবে। তোমরা মনে করো আমি লুকিয়ে আছি? তোমরা কী শুরু করেছ?’
সম্প্রতি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই বিভিন্নররকম মন্তব্য করছেন। এমনই একটি স্ট্যাটাসে সমন্বয়ক ফজলে রাব্বীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই অডিও কলে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি।
ফজলে রাব্বী বলেন, ‘গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ ম্যাসেঞ্জারে সাবেক এমপির কল দেখে কিছুটা অবাক হয়েই রিসিভ করলাম। কিন্তু তিনি যেভাবে কথা বলছিলেন, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তাই পুরো ফোন কলটি রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। আমাকে দেখে নিতে পারার ক্ষমতাও তার আছে- বলেছেন।’
ফজলে রাব্বী আরও বলেন, ‘এমপি নাঈমুজ্জামান আন্দোলনের সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিনও একটি স্ট্যাটাসে- রক্ত স্নানে শুদ্ধ হবার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা এসব পরোয়া না করে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছি, এখন তাকে ছাড় দিয়ে কথা বলবো কেন?’