তিন বছর আগে মাহমুদুর রহমান নামে দাফনকৃত মরদেহটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর কিনা তা নিশ্চিতে কবর থেকে দেহাবশেষ তোলা হচ্ছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন কবরস্থান থেকে দেহাবশেষ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
জানা যায়, দেহাবশেষ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এর আগে, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হারিছ চৌধুরীর পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন বছর আগে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় হারিছ চৌধুরীর নামে একাধিক মামলা থাকায় পরিচয় লুকিয়ে মাহমুদুর রহমান হিসেবে দাফন করা হয়।
হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ‘২০২১ সালে ওই জানাজা নামাজে আমি ইমামতি করি। দাফনের সময়ও উপস্থিত ছিলাম। আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি।’
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মেয়ে একটি রিট করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে দেহাবশেষ তোলা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কিনা।’
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের মামলা-হামলায় পরিচয় লুকিয়ে বাবার মরদেহ দাফন করতে হয়েছে। এমনকি বাবার মৃত্যু সনদ পর্যন্ত আমরা পাইনি। তারপর বলা হলো, হারিছ চৌধুরী মারা যাননি, পালিয়ে আছেন, গা ঢাকা দিয়ে আছেন। বাবার মৃত্যু নিয়ে তো ধূম্রজাল থাকতে পারে না। তাই রিট করেছি।’
সামিরার ফুপা নাজমুল আরিফ খান বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ডিএনএ পরীক্ষা হয়ে গেলে আশা করছি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে। ওনার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে সিলেটে কবরস্থ করা হবে।’