বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কটূক্তি করার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যশোরে করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলার বাদী যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেনের আবেদনের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মাহাবুব হোসেন সরকার লাল্টু।
২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর একেএম খয়রাত হোসেন আদালতে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় ওই সময় আরও দুটি মামলা করেন চৌগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান কবির ও ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শাহাজাহান আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানতে পারেন, ১৫ ডিসেম্বর লন্ডনে বিএনপির এক সভায় তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধুকে বড় রাজাকার ও পাকবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে মোনাফেকের দল বলে মন্তব্য করে বক্তব্য দেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারেক রহমানের এ বক্তব্যে তার মানহানি হয়েছে। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর মানহানির অভিযোগে আদালতে এ মামলা করেন।
আদালতের তৎকালীন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর তারেক রহমানের প্রতি সমন জারির আদেশ দেন বিচারক। পরবর্তী ধার্য দিনে তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে চার্জ গঠন শেষে সাক্ষীর দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন আজ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
প্রত্যাহারের আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। ফলে এ মামলা তিনি আর চালাতে ইচ্ছুক নয়। বিচারক শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন।