খাগড়াছড়িতে সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
প্রবারণা মূলত আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাব্রত পালন করেন। এই তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধ্যান, সাধনা ও সংযম করেন। এই সময়ে তারা নিজস্ব বৌদ্ধ বিহারের বাইরে অন্য কোন বিহারে রাতি যাপন করতে পারেন না।
এ উপলক্ষে বুধবার (১৬ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি সদরের গোলাবাড়ী আর্য অরণ্য ভাবনা কুটিরে দেশ জাতি তথা সকল প্রাণীর হিতসুখ মঙ্গল কামনায় সকালে বুদ্ধ পূজা, ফুল পূজা সমবেত প্রার্থণা ও পঞ্চশীল গ্রহণের পর বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, হাজার প্রদীপ দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদানসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠান করা হয়।
এ সময় বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্ঞান আনন্দ উপস্থিত উপাসক-উপসিকাদের বুদ্ধের উপদেশ বানী শোনান।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এই দিনটি খাগড়াছড়ির য়ংড বৌদ্ধ বিহার, আপার পেরাছড়া নিংগ্রাধং বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে পালন করা হচ্ছে।
বিগত মাসখানেক আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও খাগড়াছড়িতে বুদ্ধমুর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সীমিত পরিসরে প্রবারণা উদযাপন করার ও কঠিন চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ ও উপাসকরা।
খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত ক্ষেমাছাড়া মহাস্থবির ভান্তে বলেন, রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারে হামলা ভাঙচুর ও খাগড়াছড়িতে বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার কারণে আমরা এ বছর কঠিন চীবর দান করা থেকে বিরত আছি। কোন বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান হবে না।