সারা বাংলা

অনুমতি থাকলেও হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানিতে জটিলতা

অনুমতি থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে পারছে না। এ জন্য তারা কাস্টমসের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। 

আমদানিকারকরা বলছেন, এ স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারলে উত্তরাঞ্চলের বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তা বলছেন, আমদানিযোগ্য পণ্য হয়ে থাকলে আমদানি করতে পারবেন। 

দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ডিম আমদানির অনুমতি পায় এই স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক। অনুমতিপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা দেশের যেকোনো স্থলবন্দর দিয়ে এ সব ডিম আমদানি করতে পারবে। এই স্থলবন্দর দিয়ে আলিফ ট্রের্ডাস নামে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছে। 

এদিকে, হিলির স্থানীয় বাজারে প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় এবং গ্রামে বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। 

হিলি বন্দরে ডিম আমদানিকারক নূর-ইসলাম বলেন, ‘এই স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করা গেলে উত্তরাঞ্চলে ডিমের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দাম কমে আসবে। প্রতি ডজন ডিম ভারত থেকে আমদানি করতে খরচ হবে প্রায় ৬৫ টাকা, প্রতি পিস ডিমে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২ টাকা। সব খরচ মিলে আমদানিকৃত এ সব ডিম ১০ থেকে ১১ টাকার মধ্যে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হবে। কিন্তু কাস্টমসের কারণে আমি এই বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারছি না।’ 

আমদানিকারক শহিদ ইলাম বলেন, ‘হিলি কাস্টমসের কাছে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। নতুন কোনো পণ্য আমদানিতে কাস্টমস আমাদের নিরুৎসাহিত করে আসছে। যার কারণে দিন দিন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি তলানিতে যাচ্ছে। ডিম আমদানির অনুমতি পায় হিলি স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক। অনুমতিপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা দেশের যেকোনো স্থলবন্দর দিয়ে এ সব ডিম আমদানি করতে পারবেন। কিন্তু কাস্টমসের বৈষম্যের কারণে এ স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করা যাচ্ছে না।’ 

হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার বলেন, ‘ডিম যদি আমদানি যোগ্য পণ্য হয়ে থাকে, তাহলে আমদানিকারকরা আনতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় দিতে হবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি দেখব।’