সারা বাংলা

‘পরিবহন সেক্টর অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

সরকারকে চাপে রাখতে পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের শিরোইলে গ্রুপের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রাজশাহীর পরিবহন শ্রমিকদের একাংশেরই অভিযোগ, নজরুল ইসলাম হেলাল ‘আওয়ামী লীগের দোসর’। তিনি গ্রুপের কার্যালয় দখল করেছেন। তাই শ্রমিকদের একাংশ গ্রুপের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে মানববন্ধনও করেছেন। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম দাবি করলেন, যারা সরকারকে চাপে রাখতে চায়, তারাই তাদের ওপর হামলা করেছেন। তারা পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন এই শ্রমিক নেতা।

নজরুল ইসলাম হেলাল জানান, গত ১৬ অক্টোবর তিনিসহ ৬-৭ জন মালিক-শ্রমিক নেতা একটি স্মারকলিপি দিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে মো. মমিন, গৌতম মোহন চৌধুরী রাকেশ, মাইনুল হক হারু, আসাদুজ্জামান আসাদসহ কয়েকজন তাদের মারধর করেন। তিনিসহ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার পর তিনি বাদী হয়ে নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।   নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, ‘আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তারা অতীতের স্বৈরাচারী সরকারের দোসর। বর্তমান সরকারকে চাপে রাখতে ও পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত রয়েছেন। তাদের যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।’

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের বর্তমান কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের একাংশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। মানববন্ধন শেষে তাদের জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। গ্রুপের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালসহ কয়েকজন সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আলমাস খান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন গ্রুপে বর্তমানে যে কমিটি রয়েছে সেটা পুরোটাই আওয়ামীপন্থী। তারা অবৈধভাবে সড়ক পরিবহন গ্রুপের অফিস দখল নিয়েছে। আমরা এ কমিটি চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি চাই। এর আগ, পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ চাই। এ দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’