গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার সময় শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রী পারভীন খাতুন ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শফিকুল ইসলাম একই ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ফকিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম পাশার মেয়ে পারভীন খাতুনের সঙ্গে মধ্যপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। এতে দেনমোহর ঠিক করা হয় ৪ লাখ টাকা। তিন মাস আগে পারভীনকে তালাক দেন শফিকুল। তালাক দেওয়া হলেও দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেননি তিনি। এরই মধ্যে জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে ঠিক হয় শফিকুলের। শুক্রবার সন্ধ্যায় শফিকুল বরযাত্রী নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে মাইক্রোবাসযোগে রওনা হন। ফকিরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে সাবেক স্ত্রী পারভীন ও তার লোকজন হামলা চালায়। এতে বরপক্ষের কয়েকজন আহত হন। খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পারভীন খাতুন বলেন, শফিকুল ইসলাম আমাকে বিয়ে করে আড়াই বছর সংসার করার পর তালাক দিয়েছে। তালাকের প্রায় তিন মাস হলেও আমার দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন, তাই পথরোধ করা হয়। তবে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, সাবেক স্ত্রী পারভীন খাতুনের দেনমোহরের টাকা পরিশোধ না করে তার বাড়ির সামনে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। এ সময় পথরোধ করা হলে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষ হয়ে যায়। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।