বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ভোটাধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগ সরকার যে আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ) ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে, সে আইনেই তাদের বিচার দেখতে আমরা দেখতে চাই। আশা করি, সে আদালতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার হবে।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শংকরবাটি হেফজুল উলুম ফায়েজা খানম কালিম মাদ্রাসায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে রুকন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে ২ হাজার নানী-পুরুষ রুকন সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) ১৬টি বছর গুম খুন করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। সাধারণ মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল।’
তিনি বলেন, প্রতিদিন অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে গুম খুন চাঁদাবাজি ধর্ষণসহ নানান অভিযোগ প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু জামায়াতে ইমলামীর ২ কোটি ৪২ লাখ রেজিস্ট্রার্ড কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ আসেনি। আগামী দিনেও আসবে না। আগামী দিনে আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যে বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আন্দোলনে বেহায়য়া-বেপরোয়া সরকার জনগণের বুকের ওপর যে গুলি ছুড়েছে-খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল, তারা আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। কিন্তু আগে বিগত তাদের তামাসার নির্বাচনের বিচার করতে হবে। এরপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আবুজার গিফারীর সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান প্রমুখ।