সারা বাংলা

মসলিন কটন মিলসের বকেয়া আদায়ে শ্রমিকদের অবস্থান 

গাজীপুরের কালীগঞ্জের সাবেক মসলিন কটন মিলস লিমিটেডের পাওনা টাকা আদায়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের সন্তানেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মসলিন কটন মিলস লিমিটেডের শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী গ্রামের রিফাত গার্মেন্টেসের (মসলিন কটন মিলসের বর্তমান নাম) ১ নম্বর গেটে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।

অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা, পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টাসহ স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মসলিন কটন মিলসের সেই সমযে শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, ‘মসলিন কটন মিলে শ্রমিকরা ১৯৫৩ সালে সরকারিভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ১৯৭০ সালে আমাদের পরিশ্রমের টাকায় জমি ক্রয়সহ শ্রমিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত করি এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আমাদের চাঁদার টাকায় পরিচালনা শুরু করি। ১৯৮২ সালে মিলটি প্রাইভেট লিমিটেড হয়। এতে ভূঁইয়া গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিকানা ছিল ৫১ শতাংশ এবং সরকারের মালিকানা ছিল ৪৯ শতাংশ। মিলটি চলমান অবস্থায় ১৯৯৩ সালে কর্মচারী-শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেয়। পরবর্তীতে কাঁচামালের অভাব দেখিয়ে ছুটি বর্ধিত করতে থাকে। এতে মালিক বা সরকারপক্ষ কোনো নোটিশ দেয়নি।’

তারা আরও বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ প্রাপ্তির তারিখ থেকে সার্ভিস ভেনিফিট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মিলটি চালু অবস্থায় বকেয়া ৭ মাসের বেতনসহ এখনও আমাদের চাকরি শ্রম আইন অনুসারে বহাল আছে।’

তারা আরও বলেন, ‘৪ হাজার কোটি টাকার মসলিন কটন মিলস ১৩৫ কোটি টাকায় কীভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে, আমরা তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। বর্তমান রিফাত গার্মেন্টেসের অবৈধ চূক্তির মেয়াদ বাতিল হয়েছে গত ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। পোশাক কারখানার বর্তমান মালিক সরকারের রাজস্ব ও কর ফাঁকি দিচ্ছে।’

শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, শ্রমিকদের রেশন কার্ড, হাজিরা কার্ড, অনেকের নিয়োগপত্রের উল্লেখযোগ্য প্রমাণপত্র সংরক্ষিত আছে। শ্রমিক কর্মচারীদের সাভিস বেনিফিট ও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ ২০০ কোটি টাকার উপরে বকেয়া পাওনা রয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানরা বলেন, বাবার বকেয়া পাওনা টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।