সারা বাংলা

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জমিদারি প্রথা ভেঙে ফেলতে হবে: ভিপি নুর

বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে রাজনীতির যে জমিদারি প্রথা চলে আসছে তা ভেঙে ফেলতে হবে। মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী, এমপির ছেলে এমপি হবে এটা চলতে দেওয়া যাবে না। এজন্য আমরা পরিবর্তনের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নেমেছি।’ 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাইদহ উজির আলী হাইস্কুল মাঠে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ঝিনাইদহ গণ অধিকার পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও গণ অধিকার পরিষদের জেলা সভপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন।

ভিপি নুর বলেন, ‘গত পাঁচ দশকে যারাই ক্ষমতায় গেছেন, তারাই দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা আমেরিকা, লন্ডন, কানাডা, মালেশিয়া ও সিঙ্গাপুরে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার থেকে শুরু করে প্রাইমারি স্কুলের পিয়ন সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গণ অধিকার পরিষদ দুর্নীতির মূল উৎপাটন করে  সমৃদ্ধশালী দেশ ও জাতি গঠনে মাঠে নেমেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা আমাদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। আমরা কোনো দেশের দাসত্ব করতে চাই না। বাংলাদেশ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের তাড়া নেই। অন্তবর্তী সরকারকে জনগণের পালস বুঝতে হবে। প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্না রয়ে গেছে। দেশের জনগণ আস্থা বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের চেয়ারে বসিয়েছেন। যদি চালাতে না পারেন তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সিধান্ত নিন। দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান আমরা দেখতে চাই না।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আর মামুন, শাকিলউজ্জামান, অ্যাডভোকেট নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাজেদুল হক, গোলাম সরোয়ার, জাহিদুর রহমান, তৌফিক শাহরিয়ার খান, রবিউল ইমলাম, খুলনার সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কবির, তোফাজ্জেল হোসেন, বরিশালের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তারুজ্জাম বেলু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।