বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ‘দেশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে তথ্য রয়েছে, বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতারা একটি জায়গায় মিটিং করার জন্য একত্রিত হচ্ছেন। সেই মিটিংয়ে তারা ভারতের আগরতলায় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেবেন। তারা সমাবেশ থেকে প্রবাসী সরকারের ঘোষণা দিতে চায়। শেখ হাসিনা সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে পারেন।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভাষা সাহিত্য চর্চা একাডেমি নোয়াখালীর আয়োজনে ‘নজরুল সাহিত্যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা এবং শহিদদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সাপের মতো বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। তারা নিজেদের দাঁতকে আরো বেশি বিষাক্ত করছে। তারা বিষাক্ত ছোবল আমাদের মানচিত্র, আমাদের পতাকার ওপরে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের অনেকেই তাদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে সাহায্য করছেন।’
চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তপ্ত রোদে ও বৃষ্টিতে ভিজে জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তাম, তখন আমাদের উদ্দীপ্ত করার জন্য ও অনুপ্রেরণা দিতে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান ও কবিতা বাজানো হতাে। নজরুলের গান ও কবিতা ছাত্রদের বিপ্লবী চেতনা জাগিয়ে তুলেছে। কাজী নজরুল ইসলাম আজ থেকে শতবৎসর আগে যে গান-কবিতা লিখেছিলেন, আজো তা বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। কাজী নজরুলের লেখা গান ও কবিতা বায়ান্নর ভাষা আন্দোল, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের মহান বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজান বিন মজিদ প্রমুখ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে চব্বিশের আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পরে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের টাকা তুলে দেন অতিথিরা।