সারা বাংলা

মা-মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় মা ও মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার আসামি রাহিল রানা ওরফে তানভীরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার তানভীর টাঙ্গাইল সদর থানার বরুহা এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে।

আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্ত্রী-শ্বাশুড়ির শরীরে আগুন, স্ত্রীর মৃত্যু 

নিহত মোর্শেদা বেগম (২২) নাটোর সদর থানার লক্ষীপুরা এলাকার মুকুল আলীর মেয়ে। তিনি তার মা ফুলবানুর (৪৫) সঙ্গে কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে কয়েক মাস ধরে আলাদাভাবে বসবাস করছিলেন তানভীর ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম। এরই মধ্যে মোর্শেদা তার স্বামী তানভীরকে তালাক দেন। গত বুধবার রাতে মোর্শেদা বেগম তার মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে তানভীর বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। তিনি জানালা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও শাশুড়ির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর সেখান থেকে তানভীর পালিয়ে যান। 

ঘরের দরজায় তালা লাগানো থাকায় দগ্ধরা বাইরে বের হতে না পেরে চিৎকার করতে থাকেন। আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন দরজা খুলে দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে মোর্শেদা বেগম মারা যান। একই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মোর্শেদা বেগমের মা ফুলজান বেগম একই হাসপাতালে মারা যান।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহত ফুলবানুর মা আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা করেন। র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তানভীরকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, রোববার দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।