বিয়ে হয়েছে, তবে এখনো অনুষ্ঠান হয়নি। এরইমধ্যে বরিশাল নগরীর বিবির পুকুর পাড়ের একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেন নববিবাহিত দম্পতি। এই রাত্রিযাপনই কাল হয়েছে নববধূর জন্য।
স্বামীর সঙ্গে রাত্রিযাপনের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি ও পরে ডিলেট করার আশ্বাস দিয়ে একটি বাসায় নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় নববধূকে।
এই অভিযোগে মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা।
এর আগে, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানার রহমপুর এলাকার একটি বাসায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হোটেল বয় জাহিদ হোসেন ও শাহীন হাওলাদার। অন্যরা হলেন- শাহ আলম, সবুজ হাওলাদার ও মিঠু।
ভুক্তভোগী নববধূর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আবাসিক হোটেলের স্টাফ (হোটেল বয়) জাহিদ গৃহবধূকে খবর দিয়ে জানায় তার স্বামীর সঙ্গে রাত্রিযাপনের একটি ভিডিও শাহীন হাওলাদার নামে এক যুবকের কাছে তিনি দেখেছেন। এ খবরে গতকাল রাতে হোটেলে ছুটে যান গৃহবধূ। শাহীন এসে জানান, ভিডিও যে মোবাইলটিতে রাখা সেটি তিনি বাসায় রেখে এসেছেন। এরপর শাহীন ভিডিওটি ডিলেট করতে গৃহবধূকে তার বাসায় যাওয়ার কথা বলেন।
নববধূকে বরিশাল নগরীর অদূরের রহমতপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান শাহীন। সেখানে একটি রুমে আটকে রেখে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। আজ সকালে পুলিশকে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।