নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এ দিন পরিবহন শ্রমিক মো. খোকন হত্যা মামলায় শুনানির জন্য নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মী সমবেত হয়। শুনানি শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় নেতাকর্মীরা একরামুলের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকে।
ওই সময় নেতাকর্মীরা ‘একরাম ভাই ভয় নাই, রাজ পথে ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজ পথ ছাড়ি নাই’, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আইনজীবী ফোরামের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত ছিল। তারা ভুল করেছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক আদালত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। একরামের রিমান্ডের আবেদনের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তখন আমি স্কটে সামনে ছিলাম। পিছনে কী হয়েছে বলতে পারছি না।’
সোমবার নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১ নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন আওয়ামী লীগ নেতা একরামুলকে পরিবহন শ্রমিক মো. খোকন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহত শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে, আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মিছিলের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবাদসভায় ছাত্র-জনতাসহ সকল রাজনৈতিক দলকে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।