ফরিদপুরের সালথায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের জের ধরে বখাটেদের চাকুর আঘাতে কাসেম বেপারী (২৮) নামে এক যুবক খুন হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদসহ ২৯ জনের নামে একটি লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের ফরিদা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে এ মামলায় রোববার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সালথার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। তবে চাঁদাবাজি ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদ গা ঢাকা দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি যৌথবাহিনী। আজাদের বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় নাম ভাঙিয়ে ও কেন্দ্রীয় পদ স্থগিত এক বিএনপি নেতার নাম বিক্রি করে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
তবে বারবারই বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদ তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়টিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে আসছেন। এটাকে তিনি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, সালথায় একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।