সারা বাংলা

সেতু নির্মাণে ধীরগতি, ভোগান্তি 

মানিকগঞ্জের ঘিওরে কুস্তা খালের উপর সেতু নির্মাণে ধীরগতির কারণে ভোগান্তি পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও যথাসময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দৃশ্যমান কোনো নির্মাণ কাজ করেননি। ফলে যথা সময়ে নির্মাণ শেষ না হলে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। 

জানা গেছে, ৪২ বছর আগে ঘিওর সড়কের কুস্তা খালের উপর স্টিলের সেতু নির্মাণ করা হয়। গত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা ভেঙে ফেলে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় (এলজিইডি)। জিডিপি- ৩ প্রকল্পের আওতায় ঘিওর সদর সড়ক থেকে কুস্তা-শ্যামগঞ্জ জিসি সড়কের কুস্তা ইছামতি নদীর উপর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ মিটার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে যৌথভাবে সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায় এমএই অ্যান্ড এমএমটি– জেভি ট্রেডার্স। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর উভয়পাশে ধীর্ঘদিন ধরে কিছু নির্মাণ সামগ্রী এনে ফেলে রেখেছে। ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রীর উপর গজিয়ে উঠেছে ঘাস-লতাপাতা সাথে রডে ধরছে মরিচা। দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় কুস্তা খালের উপর দিয়ে চলাচলকারী ৩০ গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। 

কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান খান জানান, কুস্তা খালের উপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ বিলম্ব হওয়ায় কুস্তা, নারচি, রসুলপুর, খলসি, বিষ্ণুপুর, জিয়নপুরসহ ৩০ এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানাই। 

আরেক বাসিন্দা ইয়াকুব মোল্লা বলেন, এ খালে নতুন সেতু নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি। সে দাবি অনুযায়ী সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হলেও বাস্তবায়নে ধীরগতি ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে। 

ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, দরপত্র আহ্বান শেষে কার্যাদেশ হওয়ার পরও সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো উচিত। এ সেতু নির্মাণ হলে ঘিওর উপজেলার মানুষ ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে। 

ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশরাফ ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কুস্তা খালের উপর স্টিলের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত বছর সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে আরসিসি গার্ডের সেতু নির্মাণ করা হবে। চলতি বছর বর্ষার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। খাল থেকে পানি নেমে গেলে কাজ শুরু হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করার বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।