বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে পাবনায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে থাকে। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে দমকা বাতাস বয়ছে।
বৃষ্টিতে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে আটকে যান। ফলে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। কেউবা ছাতা নিয়ে জরুরী কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন। আকাশে বেশ মেঘ রয়েছে। দিনমজুর, শ্রমিকরাও বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
বিকেল ৪টার দিকে শহরের শহীদ চত্বরে দেখা যায়, অনেক গৃহবধূ তার শিশুকে নিয়ে প্রাইভেট বা কোচিং এ যাচ্ছেন। বৃষ্টিতে আটকা পড়ে পাশের দোকানের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। রিকশাচালকরা পলিথিন জড়িয়ে রিকশা চালাচ্ছেন।
রাধানগর মহল্লার গৃহবধূ সালমা আক্তার বলেন, ‘দেখলাম আকাশে মেঘ। মনে হলো বৃষ্টি হতে দেরি হবে। এর মধ্যে মেয়েটার কোচিং শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু পথের মাঝে আটকে গেলাম।’
কাজ শেষে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দিনমজুর ময়নাল হোসেন। তিনি বললেন, ‘বৃষ্টি আসলে আর কী করার আছে? আমাদের ঝড়ই কী আর বৃষ্টিই বা কী। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই কাজ করলাম। এখন বাড়ি যাচ্ছি।’
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, ‘ঘূণিঝড় দানার প্রভাবে নিম্নচাপ শুরু হয়েছে। এজন্য গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এরকম আরও দুই থেকে তিন দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাবনা অঞ্চলে ঝড় হওয়ার আশঙ্কা নেই।’
নাজমুল হক আরও জানান, বুধবার পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বৃষ্টির পরিমাণ জানা যাবে।