সারা বাংলা

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৮২৯ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৮২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া রয়েছে ৮৭৬০ জন সেচ্ছাসেবক, ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার নগদ অর্থ ও ৮০০ মেট্রিকটন জিআরচাল, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ১০০০ প্যাকেট শিশু খাদ্য ও গো খাদ্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম। 

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা বারোটায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। 

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. কবির হাসান, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক মেরামত এবং কৃষকদের আমন ক্ষেত রক্ষা কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় দানা আজ সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা আরও ঘনীভূত হতে পারে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। 

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় আমরা জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তত রয়েছে।’