সারা বাংলা

তথ্য কমিশনের নির্দেশের পরেও মেলেনি তথ্য 

তথ্য কমিশনের নির্দেশের পরেও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহ আলম সিদ্দিকী তথ্য প্রদান করেননি। ফলে তথ্য অধিকার আইনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আবেদনকারী। তথ্য অধিকার আইন নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিবর্গরা ওই কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেছেন। 

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক জাহিদুল হক চন্দন তথ্য অধিকার আইনে তথ্য পেতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম সিদ্দিকী বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের পরে কোনো তথ্য বা উত্তর না পাওয়ায় আবেদনকারী মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর আপিল করেন। আপিল কর্মকর্তা তথ্য প্রদানের উদ্যোগ না নেওয়ায় আবেদনকারী তথ্য পেতে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে শুনানীর জন্য সমন জারি করে তথ্য কমিশন। 

শুনানীতে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম সিদ্দিকী তথ্য প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। পরে তথ্য কমিশন যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে তথ্য প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এ সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর ডা. শাহ আলম সিদ্দিকী তথ্য মূল্য পরিশোধ করার জন্য আবেদনকারীকে পত্র দেন। আবেদনকারীও যথাযথ নিয়মে চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ডা. শাহ আলম সিদ্দিকীকে কপি সরবরাহ করেন। কিন্তু তারপরও আবেদনকারী তথ্য পাননি। 

চালানের কপি জমা দেওয়ার পর তথ্য পেতে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম সিদ্দিকীকে কয়েকবার অনুরোধ করেন এ প্রতিবেদক। ডা. শাহ আলম সিদ্দিকী বারবার দিতে চেয়েও আর তথ্য প্রদান করেননি। কেন তথ্য প্রদান করেননি এ বিষয়ে জানতে কয়েকবার তার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনে সরবরাহযোগ্য তথ্য হলে আবেদনের সময়েই সরবরাহ করতে পারতেন। তা না করে ওই কর্মকর্তা সময়ক্ষেপণ করেছেন। এ ছাড়া তথ্য কমিশনের নির্দেশনার পরও তথ্য প্রদান করেননি। ফলে তথ্য অধিকার আইনকে ওই কর্মকর্তা অবজ্ঞা করেছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

তথ্য পেতে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিনের সহযোগিতা চাওয়া হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।’