বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা, মোবাইলফোন চুরি ও ভাঙচুরের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজসহ আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ২২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আশরাফুল ইসলাম মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলাটি করেন গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের মিছিলে হামলায় আহত শিক্ষার্থী রিয়াদের বাবা আব্দুল কুদ্দুস। তিনি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী মুকুল (৫৫), আব্দুর রহিম (৬০), ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল (৩০) ও শাহীন আলম (২৭)। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন, আওয়ামী লীগ সমর্থীত ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাইনুল ইসলাম লিটন, জাতীয় পার্টি সমর্থিত সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাদীরা গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসার সময় দু’দফা হামলা চালিয়ে বাদীর ছেলে রিয়াদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করে। তারা পাঁচটি মোবাইল ফোন চুরি ও মিছিলে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করে।
মামলার বিষয়ে জানতে বাদী আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইলে কল কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, মামলায় চার জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।