সারা বাংলা

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চাঁদপুরে হাট বসিয়ে ইলিশ বিক্রি 

মাছ ধরা ও বিক্রির নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মনিপুর চরে ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে। শনিবারও (২৬ অক্টোবর) মনিপুর চরে ভাসমান হাট বসিয়ে ইলিশ মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

প্রধান মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ রয়েছে।

মনিপুর চর এলাকার সিরাজ গাজীর ছেলে মো. বিল্লাল গাজী, রহমান গাজীর ছেলে মো. সবুজ গাজী, আব্দুল কাদের মিজির ছেলে মো. নুরু মিজি, মো. শহিদ মিজির ছেলে মো. তাজুল মাঝি, মানু গাজীর ছেলে মো. মাসুদ গাজীসহ কয়েকজন ভাসমান আড়ৎ বসিয়ে ডাকের মাধ্যমে ইলিশ বিক্রি করেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত; আর সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইলিশ বেচাকেনা হয়। মনিপুর চরের মজিব কেল্লায় যাওয়ার প্রধান গেটে আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে নদীর পার এবং টিলায় দিনে কয়েক লাখ টাকার ইলিশ বেচাকেনা হয়। অভিযোগ আছে, নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিষয়টি জেনেও ব্যবস্থা নেন না।

স্থানীয় চর ভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ডি এম মোমিন বলেন, ‘প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ইলিশ মাছ বেচাকেনা হচ্ছে। আমরা হাতেনাতে নৌকা ও ইলিশ ধরেছি। বিষয়টি নৌপুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। যদি এই হয় মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের নমুনা, তাহলে যে সকল জেলে নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে যাচ্ছেন না; তারাও নদীতে নামলে কিছুই করার থাকবে না।’

এ বিষয়ে নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি নতুন মাত্র যোগ দিয়েছি। কারও বিরুদ্ধে নৌকা নামিয়ে ইলিশ ধরার অভিযোগ থাকলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪টি নিয়মিত মামলা করেছি। ৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছি। ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৮০ কেজি ইলিশ জব্দ করে এতিম-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।’