কুমিল্লার লালমাইয়ে মো. এজাহার উদ্দিন বাবলা (২০) নামে এক যুবককে হত্যার পর লাশ সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত জান্নাতুন নাঈমকে (১৯) আটক করেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়ারপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার (২৬ অক্টাবর) লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী।
নিহত বাবলা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার এলাকার চণ্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত জান্নাতুন নাঈম কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তারা লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
এলাকাবাসী জানান, বিয়ের পর থেকে দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন বাবলা ও তার স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল শুক্রবার রাতে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এরই একপর্যায়ে জান্নাতুন নাঈম তার স্বামী বাবলাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। আত্মহত্যার নাটক সাজাতে তিনি বাবলার মরদেহ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে ফোন করেন। জান্নাতুল নাঈম পুলিশকে জানান, তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি শাহ আলম বলেন, মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের স্ত্রী জান্নাতুন নাঈমকে আটক করে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর জান্নাতুন নাঈমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।