ছেলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগে সালিশে তার মাকে লাঠিপেটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ঘটনাটি আরও এক বছর আগের বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইয়ুব আলী।
আইয়ুব আলী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য ও একই ওয়ার্ডের শামসুল হকের ছেলে। ভুক্তভোগী নারী একই ওয়ার্ডের চরপানা উল্যা গ্রামের বাসিন্দা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সালিশে আইয়ুব আলী ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করেন, তার ছেলে যে মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিস চুরির সঙ্গে জড়িত, তা তিনি জানেন কি না? ওই নারী জবাব দেন, তিনি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না। আবারও ওই নারীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি তার ছেলেকে চুরি করতে বলেছেন কি না? ওই নারী পুনরায় ‘না’ জবাব দিলে সালিশে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি বলে ওঠেন, সে (ওই নারী) সব জানে। এ সময় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বসা থেকে দাঁড়িয়ে একটি লাঠি দিয়ে ওই নারীকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়। এরপর আমাকে দোষী করা হয়। মেম্বার আইয়ুব আলী সবার সামনে আমাকে লাঠিপেটা করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, ‘চুরির অভিযোগ ছিল সত্য। আত্মীয় হওয়ায় ওই নারীকে শাসন করছি। ভিডিওটি এক বছর আগের। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। পুরাতন ভিডিও দিয়ে বিএনপির লোকেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’